কাব্যের উপেক্ষিতা // রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর





 কাব্যের উপেক্ষিতা 


1. কাব্যের উপেক্ষিতা প্রবন্ধটি কার রচনা? এটি কোন প্রবন্ধ গ্রন্থের অন্তর্গত?

উত্তর - রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের রচিত। প্রবন্ধ গ্রন্থের নাম প্রাচীন সাহিত্য।

2. কাব্যের উপেক্ষিতা প্রবন্ধটি কত খ্রিস্টাব্দে কোথায় প্রকাশিত?

উত্তর- ১৩০৭ বঙ্গাব্দে জৈষ্ঠ মাসে ভারতী পত্রিকায় প্রকাশিত হয়।

3. মান্ডবী কে?

উত্তর- জনক রাজার কন্যা , ভরতের স্ত্রী।

4. উর্মিলা কে ?

উত্তর- লক্ষণের স্ত্রী।

5. শকুন্তলা কে?

উত্তর- রাজা দুষ্মন্তের স্ত্রী।

6. অনুসূয়া, প্রিয়ংবদা কে ছিলেন?

উত্তর- অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদা হলেন শকুন্তলার দুই সখী।

7. সংস্কৃত সাহিত্যে আর একটি অনাদৃতা আছে কোন প্রবন্ধের অংশ? কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- প্রবন্ধের নাম কাব্যের উপেক্ষিতা। এখানে বানভট্টের কাদম্বরী কথা কাব্যের পত্রলেখার কথা বলা হয়েছে।

8. পত্রলেখা কে?

উত্তর- রাজা কুলুতেশ্বরের কন্যা পত্রলেখা। রাজা বন্দিনী অনতিযৌবনা এই রাজকন্যা কে যুবরাজ চন্দ্রাপীড়ের তাম্বুল করঙ্কবাহিনী করে পাঠিয়েছিলেন রাজমাতা বিলাসবাতি।

9. কাব্যের উপেক্ষিতা প্রবন্ধটি কি কি জাতীয় প্রবন্ধ?

উত্তর- সাহিত্য সমালোচনা মূলক প্রবন্ধ।

10. কাদম্বরী আখ্যায় কবিতার নায়ক, নায়িকার নাম কি?

উত্তর- নায়ক চন্দ্রাপীড় এবং নায়িকা কাদম্বরী।

11. উর্মিলা কে কেবল আমরা দেখলাম বধূবেশে- কোথায় বধূবেশে দেখা যায়?

উত্তর- বিধেয় নগরের বিবাহ সভায়।

12. তুমি প্রত্যুষের তারার মতো - কোন প্রবন্ধের অংশ? কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- প্রবন্ধের নাম কাব্যের উপেক্ষিতা। কাব্যের উপেক্ষিতা প্রবন্ধে লক্ষণ পত্নী উর্মিলা সম্বন্ধে প্রাবন্ধিক রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই উক্তি করেছেন।

13. এমন মধুর নাম সংস্কৃত কাব্যে  আর দ্বিতীয় নেই - কার নাম সম্বন্ধে লেখক এ কথা বলেছেন?

উত্তর- লক্ষণ পত্নী উর্মিলার সম্বন্ধে এ কথা বলা হয়েছে।

14. এই নামটির জন্য বাল্মিকীর নিকট কৃতজ্ঞ আছি - কোন প্রবন্ধের অংশ? কোন নামটির জন্য?

উত্তর- প্রবন্ধ কাব্যের উপেক্ষিতা। নামটি হল উর্মিলা।

15. সংস্কৃতে সাহিত্যে আরেকটি অনাদৃতা আছে-  এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- কাদম্বরী কাহিনীর পত্রলেখার কথা বলা হয়েছে।

16. সংস্কৃত কাব্যে আরও দুটি তপস্বিনী আমাদের চিত্রক্ষেত্রে তপবন রচনা করিয়া বাস করিতেছে,-  কোন কাব্যের প্রসঙ্গ এখানে উল্লেখিত আছে? এখানে কাদের কথা বলা হয়েছে?

উত্তর- কাব্যের নাম অভিজ্ঞান শকুন্তলম। এখানে অনুসূয়া ও প্রিয়ংবদার কথা বলা হয়েছে।

17. কবি কমন্ডলু হইতে এক বিন্দু অভিষেক বারিও কেন তাহার চির দুঃখ অভিতত্ত্ব নম্র ললাটে সিঞ্চিত হইল না - এখানে কবিকে?

উত্তর - কবি হলেন রামায়ণের রচয়িতা, আদি কবি বাল্মিকী।

18. নামকে যারা নামমাত্র মনে করে আমি তাদের দলে নয় -ব্যাখ্যা কর?

উত্তর - রামায়ণে সর্বজন উপেক্ষিতা উর্মিলার নামের মাধুর্য প্রসঙ্গে রবীন্দ্রনাথ এই মন্তব্য করেছেন। তার মতে গোলাপ প্রকৃতির দান তাই এর মাধুর্য সংকীর্ণ সীমাবদ্ধ কিন্তু মানুষের মাধুর্য এমন সর্বাংশে সুগোচর নয় তার মধ্যে অনেকগুলি সূক্ষ্ম সুকুমার সমাবেশে অনির্বচনীয়তার উদ্রেক করে। শুধু ইন্দ্রিয় নিয়ে নয় তাকে কল্পনা দিয়ে সৃষ্টি করতে হয়। নামকরণ সেই সৃষ্টি কাব্যে সাহায্য করে।

19. ইন্দ্র গোপ কীট  কূটুজ প্রাঙ্গণ শব্দের অর্থ কি?

উত্তর - বর্ষাকালে কুটির প্রাঙ্গনে জাত এক ধরনের লোহিত কীট বিশেষ।

20. তাহারা তো ছায়া নহে-  কারা ছায়া নয় এবং কেন?

উত্তর- শকুন্তলার দুই সখী প্রিয়ংবদা ও অনুসূয়ার কথা বলা হয়েছে। রবীন্দ্রনাথের মতে শকুন্তলার সঙ্গে তারা অন্তর্হিত হয়নি, তারা জীবন্ত এবং কাব্যের বাহিরের জগতে অণভিনীত নাটকের নেপথ্যে তার বেড়ে উঠেছে। তাই তারা ছায়া নয়।

21. গোলাপকে যে নাম দেওয়া যা তার মাধুর্যের তারতম্য হয় না - কার উক্তি ?কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে?

উত্তর - সেক্সপিয়ার । তার বিখ্যাত নাটক রোমিও এন্ড জুলিয়েট নাটকের দ্বিতীয় দৃশ্যে এই উক্তি করেছেন।

22. তারপর অরুণ আলোকে আর তোমাকে দেখা গেল না-  এখানে কার কথা বলা হয়েছে?

উত্তর - লক্ষণ পত্নী উর্মিলার কথা বলা হয়েছে।

23. ইহাকে সামান্য পরিজনের মতো দেখিও না - কার কথা বলা হয়েছে ?প্রসঙ্গ লেখো?

উত্তর - কাব্যের উপেক্ষিতা প্রবন্ধের পত্রলেখার সম্বন্ধে এ কথা বলা হয়েছে। বিশালাক্ষী তার পুত্র চন্দ্রাপীড়ের কাছে পত্রলেখাকে প্রেরণ করেন এবং সেই সঙ্গে আচরণ সম্পর্কে সতর্ক করে তাকে নির্দেশ দেন সে যেন পত্রলেখাকে চাপলা থেকে আচরণ করতে শিষ্যার মতো সুহৃদের মত সমস্ত বিশ্রম্ভ ব্যাপারে অভ্যন্তরে নিতে অতি চিরপরিচারিকা হতে পারে এমন কাজে নিযুক্ত হবেন।

24. যে ঋষি কবি পঞ্চ বিরোহিণী দুঃখ একবার চাহিয়া দেখেলেন না - প্রসঙ্গ উল্লেখ করে লেখো?

উত্তর - একদা বাল্মিকী তমসা তীরে ভ্রমণ কালে এক নিষাদ কর্তৃক প্রণয়রত এক ক্রৌঞ্চকে নিহত হতে দেখেছিলেন। ক্রৌঞ্চ নিহত হলে ক্রৌঞ্চী নিহত পক্ষীটির চারপাশে ঘুরে ঘুরে কাঁদছিল সেই কান্না সইতে না পেরে এই বাল্মীকির প্রতি উদ্ধৃত অভিযোগটি করেছেন। কারণ তিনি উর্মিলার দুঃখ বেদনার দিকে একবার চেয়ে দেখেননি। সদ্য বিবাহিত রমণী উর্মিলার যখন স্বামীর সান্নিধ্যে প্রনয় রস আস্বাদন করে কাটাবার কথা । তখন তার স্বামী তাকে ছেড়ে 14 বছরের জন্য (রবীন্দ্রনাথ লিখেছেন ১২ বছর ) যাচ্ছেন বনবাস। নববধূর কাছে এর থেকে মর্মান্তিক ঘটনা আর কী ? তবু বাল্মীকি ঊর্মিলার সেই মর্মান্তিক বেদনার কথা নিয়ে কিছু মাত্র সময় ব্যয় করেননি।

25. পত্রলেখা কি অর্থে উপেক্ষিতা? পত্রলেখা কার কাছে বড় হয়েছে?

উত্তর - পত্র লেখা রাজমাতা মহাদেবী বিলাসবতীর কাছে মেয়ের মতো বড় হয়েছে।

26. পঞ্চবির প্রতিগর্বিতা- পঞ্চমীর প্রতিগর্বিতা কে?

উত্তর - দ্রৌপদী।

27. পঞ্চবীর  কে কে?

উত্তর - যুধিষ্ঠির, ভীম, অর্জুন, নকুল ও সহদেব।

28. উর্মিলা চিরবধূ কেন?

উত্তর - সমগ্র রামায়ণে উর্মিলাকে মাত্র একবার বধু রূপে বিবাহ সভায় দেখা যায়। তাই পাঠক , দশক, শ্রোতার কাছে সে চিরবধু।

29. কাব্য সংসারে এমন দু-একটি রমনী আছে যাহা কপি কর্তৃক সম্পূর্ণ উপেক্ষিতা হইয়াও অমরলোক হইতে এই হয় নাই-  এখানে কাদের কথা বলেছেন?

উত্তর - লক্ষণ পত্নী উর্মিলা, সংস্কৃত কাব্যের প্রিয়ংবাতা , অনুসূয়া এবং কাদম্বরী কাব্যের পত্রলেখা।

30. সেই কারণেই এই অন্তপুর বিচ্যুত- জন্মিতে যাহা অন্তঃপুর বিচ্যুত কে ?কোন কাব্যে চরিত্র?

উত্তর - অন্তঃপুর বিচ্যুতা হলেন পত্রলেখা। কাব্যের উপেক্ষিতা চরিত্র।

0 মন্তব্যসমূহ