মৃচ্ছকটিক


 **ব্রাহ্মণ বণিক চারুদত্ত ও রাজনর্তকী বসন্তসেনার প্রণয় কাহিনী নিয়ে দশঅংকে রচিত প্রকরণ জাতীয় রূপক হল শুদ্রকের ‘মৃচ্ছকটিকম্’।শুদ্রক সম্বন্ধে জানা যায় তিনি অস্মক দেশের অধিবাসী ও জাতিতে ব্রাহ্মণ।নানা ঘটনার দ্বারা জীবনে বিভিন্ন উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে তিনি পরবর্তীতে উজ্জয়িনীর রাজা হয়েছিলেন।                                                                                                                                                                                                                                                                                                                      

আবির্ভাব কালঃ-শুদ্রকের আবির্ভাব কাল সম্বন্ধে পণ্ডিতেরা যথেষ্ট সংশয়াচ্ছন্ন।কারোমতে তিনি খ্রিস্টপূর্ব দ্বিতীয় শতকে অথবা প্রথম শতকে আবার অনেকের মতে ষষ্ঠ শতকে আবির্ভূত হয়েছিলেন।সর্বোপরি বলা যায় শুদ্রক সম্ভবত খ্রিঃ পূর্ব দ্বিতীয় অথবা প্রথমশতক থেকে খ্রিঃ প্রথম শতকের মধ্যে বর্তমান ছিলেন।  

**বিষয়বস্তু-  উজ্জয়িনী নগরীর অভিজাত ধ্বনি বণিক ব্রাহ্মণ সন্তান চারুদত্ত নানাবিধ দান-ধ্যান করে এক সময় দরিদ্র হয়ে পরলেও তাঁর সৎ-গুনাবলীর জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়,প্রসিদ্ধ ও শ্রদ্ধাভাজন ছিলেন।নগরীর শ্রেষ্ঠনটী রাজনর্তকী বসন্তসেনা চারুদত্তের প্রতি প্রেমাসক্তা,এদিকে আবার রাজা পালকের শ্যালক শকার বসন্তসেনার প্রণয় প্রার্থী কিন্তু বসন্তসেনা তাকে বিশেষ আমল দেয় না।ক্ষিপ্তশকার বসন্তসেনার কণ্ঠ রোধ করে এবং মৃত মনে করে চারুদত্তকে মিথ্যাভাবে বসন্তসেনার হত্যায় অভিযুক্ত করে। পরে এক বৌদ্ধভিক্ষু সন্যাসীর পরিচর্যায় সংজ্ঞাহীনা বসন্তসেনা সুস্থ হয় এবং শকারের অভিযোগ মিথ্যা প্রমান করে চারুদত্তকে মৃত্যুর হাত থেকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।ঠিক সেইসময় ঘোষ পল্লীর আর্যক বন্ধু সর্বিলকের সহায়তায় কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে রাজা পালকের বিরুদ্ধে বিদ্রহ করে জয়ী হন ও পালককে হত্যা করেন।প্রজারা আর্যককেই রাজপদে অভিসিক্ত করেন।এই আর্যককে চারুদত্ত একসময় কারাগার থেকে উদ্ধার করেছিলেন সেই কৃতজ্ঞতা স্বরূপ আর্যক চারুদত্তকে কুশাবতী রাজ্যটি দান করেন।

ASRAF ALI [SANSKRIT HONS.,M.A, ACHARYA(SAHITYA),B.ED,M.A EDUCATION ]

এখানে CLASS XI-XII এবং B.A HONS. & PASS এর   সংস্কৃত বিষয় যত্ন সহকারে পড়ানো হয়।

বাংলা ও এডুকেশন নোটস দেওয়া হয়।

স্থান-ভাতার বাজার।  ……..আমারুণ বাজার।    MOB-7872686215 & 9064359401



মূল্যায়নঃ-শুদ্রক এই নাটকে গতানুগতিকতার পরিবর্তে এক নতুন ধারার প্রবর্তন করেন। শুধু উচ্চবৃত্ত নয় সর্বস্তরের মানুষকে তার রচনায় স্থান দিয়েছেন।নাটকটিতে চরিত্র সংখ্যা ৩০ টি, এর কোনটাই টাইপ চরিত্র নয়।প্রতিটি চরিত্রই নিজস্বতায় উজ্বল ।সর্বপরি ব্রাহ্মণ চোর সর্বিলক থেকে ব্রাহ্মণ বণিক চারুদত্ত এবং রাজনর্তকি বসন্তসেনা,সেই সঙ্গে মদনিকা,রদনিকা,বিট, চেট প্রমুখ সকল চরিত্রকেই সমান গুরুত্ব দিয়ে তৎকালিন সমাজের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন।

          নির্দোষ রচনা দেখা যায় না।শুদ্রকের মৃচ্ছকটিক প্রকরণেও কিছু ত্রুটি দেখা যায়।অনেক সময় বাস্তবতার অভাব,অতিরঞ্জন চোখে পরে।অবশ্য একটু-আধটু অতিশয়োক্তি না থাকলে সাহিত্য আস্বাদ্য হয় না।সেই কারণে সামান্য ত্রুটি-বিচ্যুতি থাকলেও মৃচ্ছকটিক নিঃসন্দেহে প্রথম শ্রেণীর দৃশ্যকাব্য।


0 মন্তব্যসমূহ